
এশীয় শিল্পের উৎপত্তি কোথায় – এই নিয়ে গবেষণা চালাবে পশ্চিমা স্মিথসোনিয়ান ইন্সটিটিউট
বার্লিনের কয়েকটি যাদুঘর “প্রুশিয়ান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংস্থা (এস.পি.কে)” নামক একটি সংগঠন দিয়ে পরিচালিত হয়ে থাকে। এই সংস্থাটি সুবিখ্যাত স্মিথসোনিয়ান ইন্সটিটিউটের সাথে একত্রিত হয়ে এশীয় শিল্পের আদি উৎপত্তি বিষয়ক একটি গবেষণা পরিচালিত করতে যাচ্ছে। শিল্পের-উৎপত্তি বিষয়ক গবেষণা করে থাকেন যারা, এবং, বিশেষ করে, এশীয় শিল্পের গবেষণায় যাদের অভিজ্ঞতা বেশি, তাদেরকে নিয়েই এই কর্মকাণ্ডটি পরিচালিত হবে।
বেশ কিছু ওয়েব-সেমিনারের মাধ্যমে এই কার্যক্রম পরিচালিত হবে যার উদ্দেশ্য হবে এশীয় আর্টের বেশ কিছু ডিলার ও সংগ্রাহকদের সংগৃহীত কাজগুলি অনুসন্ধান করা।
গত বছর এই দুই সংগঠন “হিডেন নেটওয়ার্কস: দা ট্রেড ইন এশিয়ান আর্ট” নামক একটি ওয়েব সেমিনার সিরিজ চালু করে যেখানে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী ডিলার ও সংগ্রাহকদের কর্মকাণ্ড নিয়ে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। এই ওয়েব সেমিনার-সিরিজের প্রথমটি অনুষ্ঠিত হয় ৩ ডিসেম্বর ২০২০-এ। সেখানে মূল আলোচনার লক্ষ্যবস্তু ছিলেন সি. টি. লু নামে একজন চীনা ডিলার যার প্যারিস ও নিউ ইয়র্কে একাধিক আর্ট গ্যালারী আছে। ২০১৪ সালে প্রকাশিত ফাইন্যানশিয়াল টাইম্স এর একটি প্রবন্ধ অনুযায়ী এই ব্যক্তির শিল্পকর্মের সংগ্রহ এতটাই সমৃদ্ধ যে সেটা যেন খোদ চায়নাকেও হার মানায়। কিভাবে তিনি এত আর্ট সংগ্রহ করেছেন -কিংবা কী দামে তা সংগ্রহ করেছেন – সেটা নিয়ে অনেক প্রশ্ন থাকলেও – শেষ পর্যন্ত উনার সংগ্রহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দেখা দিয়েছে।
ওয়াশিংটনের ফ্রিয়ার গ্যালারী অব আর্ট, আর্থার এম. স্যাক্লার গ্যালারী, বার্লিনের এশীয় শিল্পের যাদুঘর এবং জুরিখের রিটবার্গ যাদুঘর – এই চারটি প্রতিষ্ঠান মিলে মূলত এই ওয়েব সেমিনারের সিরিজটি আয়োজন করছে।
পরের সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হবে ২০২১ এর মার্চ মাসে। সেবার আলোচনা হবে “ইয়ামানাকা অ্যান্ড কোম্পানি” নামক এক ডিলার-প্রতিষ্ঠানের কাজকর্ম নিয়ে। এই প্রতিষ্ঠানটি ২০ শতকের প্রথমার্ধে ইউরোপ ও আমেরিকায় পরিচালিত এশীয় শিল্প ও পুরাকীর্তি নিয়ে কাজ করা সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান।
এই আলোচনা-সিরিজের সমাপ্তি ঘটবে ২০২২ সালে ওয়াশিংটনে আরেকটি বড় সম্মেলনের মাধ্যমে। এশীয় শিল্পের উৎপত্তিকে ঘিরে সেখানে নতুন নতুন গবেষণা ও আলোচনার দিকনির্দেশনা হবে।
“এশীয় অঞ্চল থেকে সংগৃহীত সামগ্রীর পিছে গবেষণা যেন কিছুটা অবহেলিত, অথচ এই বিষয়ে মানুষের আগ্রহ কিন্তু মোটেই কম নয়” – বলেন এস.পি.কে.-র সভাপতি হারমান পারজিঞ্জার।
এশীয় আর্ট বিষয়ে ফ্রিয়ার এবং স্যাক্লার গ্যালারীর সংগ্রহ মোটেই কম না। নব্যপ্রস্তরযুগীয় কাল থেকে শুরু করে আধুনিক যুগ পর্যন্ত মোট ৪২,০০০ এশীয় শৈল্পিক সামগ্রী এই দুই গ্যালারির সংগ্রহে আছে।
তথ্যসূত্র: দা আর্ট নিউজ-পেপার
3 Comments
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.
হৈমন্তীকা
শুভেচ্ছা
SHABBIR AHAMED
কবি আপনাকে অনেক অভিনন্দন জানাই
Rehana Akter
Great News