Photo By: Jr Korpa | Unsplash

সখাসম্বাদ কিম্বা নিছক এক ইন্ট্রো

এই একটিমাত্র আয়ু। তাকে সঙ্গে নিয়ে হাঁটি। হাঁটতে হাঁটতে পেরিয়ে আসি চারপাশের কাঁকুরে প্রান্তর। শালের সুউচ্চ সারি। কত শত কৈশোরিক আলো হাওয়া। যা এই লালমাটির প্রতি অঙ্গে বয়ে যায় প্রতিনিয়ত। বয়ে যায় আমাদের তিনবন্ধুর প্রথম দেখা হওয়ার দিনটিও। কবে। কখন। কোথায়। প্রথম মুখোমুখি হই। সেসব আর মনেও নেই। কেননা তা কোনো ফর্ম্যাল দেখাশোনা তো ছিল না। ছিল তিন অদম্য কিশোরের রক্তপ্রেম। কবিতার হাত ধরে পাশাপাশি হেঁটে যাওয়া। আজ এসব মনে করতে গিয়ে সত্যি সত্যিই কিছুই আর মনে পড়ে না। এই মুহূর্তে এই লেখা যখন লিখছি। আমাদের খুদে রান্নাঘরের পাশে ওই যে অলক্ষ্যের আতাগাছটি। দূর থেকে সেইদিকে তাকিয়ে আছি। আতার ওই নির্জনতর নিসর্গ দোলন। জোছন আলোর সঙ্গে মাখামাখি তার পিরিতি। তার নিরুচ্চার সমর্পণ। যেন স্থির জলে উপুড় হয়ে পড়ে থাকা চাঁদের প্রতিমাটি। এসবের সঙ্গেই আমাদের জৈব-সংহতি। বেশি। সেই সংহতি-ই তো খুঁজে ফিরি আমরা। একেকজন।

এই অভিজন্মে।
এই দূর্বাজন্মে।
এই রাধেজন্মে।

একেক। পথে।

গাঙ্গেয় উপত্যকা থেকে দূরে আমাদের এই রাঢভুমি। তার প্রস্তরীভূত আত্মকথা। সে কথা চির বিচ্ছেদের। সে কথা হড়-হাড়ালো মাটির সংঘটন। সে কথা সুদূর প্রান্তিকের। সবটা কী আর ধারণ করতে পারি আমরা! পারি না। কেননা কবিতা অন্তরে সেসব কুলিয়ে ওঠা যায় না। একান্তই করার চেষ্টা করলে, সে লেখাটিই ভেস্তে দেয়। বলে গো-মূর্খ কোথাকার! আমার অন্তরে এতটা আঁটে রে ক্ষেপা ! সেসব হল গদ্যজনের গরিমা। তোরা হলি গে। পদকর্তা।
তোরা বরং সংকীর্তন গা। তাকে জড়িয়ে থাক। যাপন কর। ব্যক্তি-বিশেষের রোজদিনে। ব্যক্তি-বিশেষের আলোটানে। কালোটানে।

আমরা তাই করি। কবিতার প্রতি-পদে। কবিতার রাঢ়-যাপন লিখে চলি। তার নিসর্গনিহার।

নুড়ি কুড়িয়ে। নুড়ি গোনা। এইসব টুকিটাকির প্রাথমিক দানের থেকেই আমরা গড়ে তুলতে চেষ্টা করি কবিতার ভাষা। প্রাণ। কতটা কী হয়। বা আদৌ হয় কিনা আমরা জানি না। তবুও তীব্র জড়িয়ে থাকার আহ্লাদ আমাদের।

সময়ের এই ব্যক্তি বিচ্ছিন্নতা। তার -রাজ-নীতি। তার সংকটকাল। ক্রিয়া তো করেই। দূরের পৃথিবীতে থাকলেও। সকল-কে হয়তো সমান্তর করে না। তবু এসব রক্তপাত থেকে কিছুটা হলেও শুশ্রূষা দেয় এই হড়-প্রান্তর। এর সজলতা। এর সহজতা।

এভাবে ল্যাটেরাইল শিরা উপশিরায় যে ধ্বনি প্রবাহ, প্রতি পক্ষকালের যে চাঁদ জলের হর্মোনাল প্রীতি। খুনসুটি। শালের সমীহ ছুঁয়ে নেমে আসা প্রতি রাতের তারার-আবহাওয়া। শরীর ভর্তি যে সমাধি প্রবাহ। তা জিইয়ে রাখে। এই কবিতা নামক জলধ্বনি। হৃদ্ ধ্বনি।

এই দেহ অন্তরের তরল চিকচিক ্। এই অযুক্তির উপাদানই আমাদের মূল। আমাদের প্রেমজ সফটওয়্যার। যা ধীরে ধীরে শীর্ণ’র যোগ্য করে তোলে। কেননা অনুভবের গাঢ়ত্বে। লেখা হয় না। সেই গাঢ়ত্ব যত রিলিজ হতে থাকে। লেখাও তত এগিয়ে যেতে থাকে। ঘেমে-নেয়ে শান্ত হতে চাওয়ার জৈব। পদ-বিন্যাসে সেই ক্রিয়া ক্রিয়া কুসুমের জয়ধ্বনি যত তীব্র হয়। তত তীব্র হয় চূড়াবীথি দেহের তরীডাক। তার প্রান্তে আছড়ে পড়ে যত ভাব-বিভাব।যত মন ও গুল্মের সমাহার। অথবা গুল্মনের সমাহার।

ভাবি, কবিতা কী পিপাসার চিরাচরিত সেই মোক্ষ-আপেল। না সে আদমের অতিবাহিত ভুল!

শব্দ কী সমস্তটা ঈভের জানুসন্ধি। নৈঃশব্দ্যের আলো-কেও কি সে জ্বলিয়ে রাখতে পারে। সৃজনে। প্রকরণে। আমাদের যৌথ কবিতা যাপনে। আমাদের অন্তর নিহিত সখাসম্বাদে সে কি নিছক এক আলোড়ন ! তবুও যখন রাধে সংহতভাবে বলে ওঠে সেই নিঃসর পদের কথা। আর দূর্বা বলে ওঠে

অধরে জ্যোৎস্না ফুটলে, মালি হে
জেগে ওঠে,অপারকুসুম !

তখন তা আমাদের যৌথতার খণ্ড খণ্ড অংশেরই যে তা চিত্ররূপ। তাতে কোনো সংশয় থাকে না।

কেননা এ-যাপন আমরা জানি। এর জৈব-সংহতি আমরা কিছুটা হলেও তুলে আনার চেষ্টা করি। আলাদা আলাদভাবে। একেকপথে। সখাসম্বাদে।

এভাবে কবিতা-অধরে যখন জ্যোৎস্না ফুটে ওঠে আমরা তথাকথিত কোনো দৈব বা স্বর্গবিচ্যুতি ভুলে যাই

রাধে ঘোষের কবিতা

পরা-দীপ জ্বলে নেভে -১

ধ্বনির তরঙ্গে উষ্ণ হয়ে উঠতে পারে
তাবৎ জালক জালিকা
ভেতরপথে শোণিত, তরঙ্গ বিম্ব রেখে ফিরছে সৈকতে
সৈকতের ঘনীভবনে কাঠপাতা দিয়ে আগুন জ্বালাবো
সেঁকে নেব কাম-কামনা
সেঁকা কাম যখন
পক্কতায় শীর্ষরেখা পেরিয়ে কামরাঙা রঙ ধরবে
ধ্বনির দমকা আগুনে ঝুঁটি মোরগের ফলায়
যে পেষণ বিদ্যুৎ
অন্তরীণ
আঙুরের
স্রোতে বহমান
তার পচনশীলতার সীমা পার করে
তাকে কি নিয়ে যাব…শক্তির ভেতর
যেখানে তরঙ্গেরা বিম্ব রেখে যাবে
আর অশ্রুত পদার্থ ফলে থাকবে সারি সারি…

ন্যানো

বউলমধ্যের ঘুমগুলিকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে, আবার তার
মধ্যে ঘুমুতে যাচ্ছে নিঃস্বর পদ, এভাবে নিমেষব্যাঘ্র
পালক রেখে যায় ছোট ফল্কন, গুল্মসিংহের দ্বিপদ শেকড়
তারও নীচে অমাবোতলসমূহ
হিমায়িত কোদাল চালনায় কোন শীর্ণতোয়া, কব্জি কিম্বা
এক দর্জিনিবিড় অক্ষরের ভুষো

দিনমানে সর ভাসে, সুচিকাজ ফুলস্লিভ এটিয়েমে
শার্সিফগের ওপারে হাবাব, নিঃশব্দের বিপকেন্দ্র
আকাশমনির ছোট ছোট গেলাসে জলোত্তল স্কেচ
বেতাল ঝুলছে নাক, ডোরের গ্রীবায় অবদেশ নিসর্গ
চক্ষুর হলুদ বিভাজিকা চোখে পড়ে

ক্যাম্পফায়ারের তুমুলে ল্যান্ড করে পাতার আড়াল
আমাদের কর্মশালা,থুৎনিতে কার্বনকৌটো খোল
বৌলস্বপ্নের দর্জির কব্জিতে অক্ষর নামুক ব্যেপে
থুৎনির মুন্ডি দ্যাখে অণ্ড খণ্ড স্পিরিটাস

খুদিয়াশোল: নিষেকপ্রতিভা

দৃশ্যে অন্তরীণ নিষেকপ্রতিভা,এই
কর্ণপটহ ফেটে যাচ্ছে, দৃশ্যের নকশিরেণু
ছাতিম হাওয়ায় ঐ শব্দজাজিম পাতা
প্রেমিকজমিন
হু হু শ্বেত ভরে যাচ্ছে – মাথার পেছনে
সামান্য মুর্গী ডেকে ওঠা – নেটওয়ার্কের আওতায়
একটি ফেব্রিকপ্রপাত – হাড়িয়াস্রোত ।
স্ক্রীনভরে হু হু শ্বেত।
মাথা থেকে মুর্গীর ভার্বাল চৈতন্য, সামান্য।
চাটাইয়ে কারা ফেলে গেছে গভীর আঙুর –
রেখে যাচ্ছে সু ডৌল।
অর্জুনকেলি করে বেড়াচ্ছে ডৌল।
আঁচলের কাপড়ে প্রচুর টক আঙুর জমিয়ে
কেই বা কেলিডোস্কোপিক নিষেকপ্রতিভা

এত শ্বেত ও ডৌল জীবনে দেখিনি।

বর্ষীয়ান ড্রাইভার

একটি রবীন্দ্রগানের প্রবাহ এ এক অদ্ভুত ‘প্রাকবৈবাহিক’ আরাকু।
এই পথে বড় বড় তেঁতুল, কোথাও নাব্য কফি উদ্যানের সর্পিল নীরবতা,
কোথাও বা ওগো দুঃখজাগানিয়া জলঝর্না
এখানে ওই পরপারের পাহাড়ে দুর্লভ ঢিবির অন্তরালে কীর্তনীয়া
সম্প্রদায় সব্জির দীর্ঘগ্রীব অন্ধকারে কাপড় ঝোলানো সব কটেজ।

একদিন সমাদ্দার ছোঁড়াকে মেলাবো এ. পি. ট্যুরিজমের গেরুয়ামঙ্গলে
এই বলে রাখছি, সবার সেদিন বিবাহ হুডখোলা জীপের কঙ্কালে
কুয়াশার রামের ভিতর প্রেমজ বিদ্যালয় এবং আমাদের মনস্কতার ভেতরে
এক ঝুম উদ্ভাবনার মূর্ত্তি : বর্ষীয়ান রবীন্দ্রনাথ মুর্ম্মু।

অভি সমাদ্দারের কবিতা

কিছু অলিখিত বুদবুদ-১

আবছা চাঁদের সন্ধে
আর সন্ধের কড়িবরগা ছুঁয়ে
নেমে আসে
এক হারানো লিরিক

যেন উথালগুলি এখনই ফলবে

সেই ফলন্ত আয়োজন খুলে দেশরাগ
নিশিবুঁদ – হৃদিরামদিরা !

ও ভ্রমর !
কইয়ো গিয়া-

শ্রাবণ ছাড়াও এক বরষণ ছিল
ছিল একটি তরী ও একটি দেহের
দুলকি সমঝোতা
কিম্বা বখাটে বোধের
যাকিছু অযুক্তি খেয়াল
মাঠ ঘাট জল করা
যাকিছু
মহুল আনাগোনা
আমি তারই দানা দানা
কুহুমঞ্জিল কুড়িয়ে আনি
আমি তারই বয়নমাত্রের
গ্লাসে ঢালা, পিছলসুহানা

যেন রক্তপ্রদেশে মিশে যাওয়া,
এই লালচে বন্দিশ

দোলনসূত্রে এখনই ফলবে !

কিছু অলিখিত বুদবুদ- ১১

শরীরের ভেতর জমা হচ্ছে
তীব্র তরল ঝাঁঝ
মাথার ভেতর জমা হচ্ছে
লাল হরফের দেশ

রক্তবিন্দুর একরকম সহাস্য
ঝরে পড়ছে মেঝেয়

ঘোড়াদের প্রবাহে ঘনত্বে

সে ভাবছে এখনই
জ্বলে উঠুক
খঞ্জর প্রতিভা

যে কাজের যা
তা সমাসন্ন
যে কাজের ছুরিকা তা তুরীয়

মহীনের ভেতর জমা হচ্ছে
ঘোড়াগুলি
কফিনগুলি
বনতলে জমা হচ্ছে মাংসময় সুষমা তার হাড়গোড়

কিছু অলিখিত বুদবুদ-১৪

আলতো করে মেঘ ডাকবে
চাকা গড়াবে আলতো করে
হাওয়া রিমঝিমের দোসর
সেও, ভিজিয়ে দেবে
জন্মান্তর
মন মোরামে লেগে থাকবে
দীর্ঘজীবী হও
শিমূলগুলি চারিপাশের দিক নির্দেশ
একটু জিরোবে কেউ
মহুলতলে
কেউ খুলবে তার শব্দ-মদালস
খলবল জলতল
তার পাঠ উথাল জলতল
ছড়িয়ে যাবে
কত কত সঘন দূর্বায়
হাতে নাতে ধরা পড়ে যাওয়া দূর্বায়
একটু আধটু আৎকা উঠবে
একটু ঘুরে যাবে চাঁদি,চাকতি
তবেই না জমবে উদ্দেশহীন
তবেই না সুখতলা ক্ষুইবে টায়ার
সারা জীবন একটি শাদা পাতা
তাতে দাগ টানা এক মোহন অবয়ব
হয়তো কেউ মনে রাখবে
আলতো করে
হয়তো কেউ বিস্মৃতি-কে
বলে উঠবে দীর্ঘজীবী হও !

কিছু অলিখিত বুদবুদ-২১

এক জৈবজারি ভাষায়
আমি তাকিয়ে আছি

নিশপিশ অন্ধকারে

আমার চোখে লেপ্টে আছে
একাকীর
ছোঁয়া- জানালা

নিশিজুঁই
তিরতির করে কাঁপছে
তারায় তারায়

সেই আলো
সেই শিরার ছায়ায়
এলানো শিস প্রান্তর

নিজেকেই দাগিয়ে যাচ্ছে রঙের নীলে

আর হাতে উঠে আসছে
শীতল শরীরের খোসা

আর হাতে উঠে আসছে
অক্ষরের ছোবল-মৃন্ময় !

দূর্বাদল মজুমদারের কবিতা

লোক ও লষ্কর

কোথাও ভিজে ভিজে লোক তুমুল টগর উঠলে
তার আলো আলো রঙ মেখে রাস্তা সাজায়, ভোরবাসা করে
আমি সেই বি-রহন মনে ধরে এত তীব্র দুধ ভ’রে রাখি !
বাষ্প রাখি নিজের প্রপাতে

যে কাঞ্চন চেয়েছি নতিশীল নীলপদ্ম হাতে
তাকে সোনা বলে ডাকো

সে আসলে নিরেট কাঁচা তরলের দানা
গলাভরে পান করি

‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎ ‎ ‎ ‎ ‎‎ ‎ ‎ ‎রীত-পিরিতের সাঁঝে ।

অ্যামবুশ পদ্ধতি

দূর থেকে কেউ ভেসে আসে
সুরবোনা ঢেউ ঠেলে দিলো
আভাতি নিক্কনে

নাখোশ কথার আঁচলশিল্প

বুনে তোলো
টলটল নিটোলের
যে আয়না
তার ভাঙা কাঁচ ও ছোঁয়ায়
রক্তের অতিধীর ভয়
কে কাকে কুড়োয় আলে-আল্পনায়

জঙ্গিশব্দেরা হামেশা ট্রেকিং করছে
ট্রেনিং নিচ্ছে
মন-স্নাইপার স্ক্রল ক’রে
ঘাপটি মারে অনুর্জ্জ স্নায়ুর ভেতরে
যে যুদ্ধ তার অ্যামবুশ পদ্ধতি
বইতে পারি না

মানুষ কবিতা হয়ে থাকে
তার নিরব থাবায় বসে থাকে
অনাকাঙ্ক্ষী বেড়াল

খেলা

এপার স্বভাবে কিছু জং লেগে থাকে
অব্যবহিত চান ও গান
মর্মচর জুড়ে পড়ে আছে রং ও রোদ
কিছুটা নেউল

দু’এক পশলা জ্যোৎস্না নিয়ে কত আর গাওয়া যায়
সপ-কিপারের ধুন
এপার ওপার করে এ জীবন নাই-বা ফুরলো
ধানক্ষেতে পড়ে থাক দূর

রাস্তা তার উদ্দেশ্য জানে না। চলা জানে।
চাঁদের সুতো ধরে নেমে আসে দু’পাটি ঠিকানা
সাপ ধরি। লুডো খেলি।
জন্মের পাশে গোপন নৌকোটি… থেমে আছে

কিছু রাগ দরকার
খাম্বাজ টাম্বাজ নয়
এই কড়ি কড়ি, কোমল কোমল

হ্যালো-জেন

আলোচরা বীজক্ষেতটিকে ভাবি
ঝাঁঝরির ভাষা পড়ার নব ছিল না
অথচ সাইরেন প্লুত হলে তীক্ষমান টুপি নড়ে ওঠে

চাঁদঘাটে তরীটি দুলছে
তুলছি ঝিকিম তরীটি

আলোয়ানের গা’য়ে যে ন’ধর ন’রম লেগে থাকে
চা-টান সকালের সেই রম টি কে
ধরাই যাচ্ছে না

অধরে জ্যোৎস্না ফুটলে, মালি হে
ভিজে ওঠে অপারকুসুম!

Loading

Leave a Reply

Skip to toolbar