মুক্তগদ্য

কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের অসমাপ্ত আত্মজীবনী (পর্ব ৬ থেকে ১০)

কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের অসমাপ্ত আত্মজীবনী (পর্ব ৬ থেকে ১০)

৬প্রমিত বাংলা ভাষা সুভাষের পূর্বপুরুষরা, রবীন্দ্রনাথের মতোই বৃহত্তর খুলনা-যশোরের মানুষ, পরবর্তীতে বিবাহসূত্রে নদীয়ার কৃষ্ণনগর ও দর্শনা অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছিলেন। বাবার আবগারি চাকুরিসূত্রে শিশু-কিশোর সুভাষের এক মধুময় সময় কেটেছে উত্তর বঙ্গের নওগাঁতে, গাঁজা গোলায়। তখন ব্রিটিশের হাত থেকে ভারতকে মুক্ত করতে উঠে পড়ে লেগেছে বাঙালিরা। নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু তখন স্বাধীনতাকামীদের কাছে মঙ্গল তারকা। সুভাষ ... »

এসে হীরক দেশে (পর্ব ১ থেকে ৪)

এসে হীরক দেশে (পর্ব ১ থেকে ৪)

ভূমিকা: ২০০৩-০৫ মেলবোর্ন ছিলাম পড়াশুনার উদ্দেশ্য। পরে দেশে ফিরে আসি। নানারকমের বিচিত্র অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হই যেগুলা অন্তত লিখে রাখলেও খারাপ হবে না – এই ভাবনা থেকে এই ঘটনাগুলা লেখা। নিজেকে মনে হতো গুপী গাইন বাঘা বাইনের গুপী গায়েনের মত। সাথে বাঘা না থাকলেও একা একা এক বিচিত্র দেশে সহজ-সরল (?) বাঙালি মানুষ … অবাক হয়ে ঘুরে-দেখে বেড়াচ্ছি … “এসে হীরক দেশে, দেখে হীরের চমক, এত খ... »

কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের অসমাপ্ত আত্মজীবনী (পর্ব ১ থেকে ৫)

কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের অসমাপ্ত আত্মজীবনী (পর্ব ১ থেকে ৫)

১ইঁদুর মারার ওষুধ খেয়ে বিড়াল মারা গেছে! ইঁদুর মারার ওষুধ খেয়ে বিড়াল মারা গেছে! বছর চারেক আগে কলকাতায় কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়, ৫/বি ডা. শরৎ ব্যানার্জি রোডের ঠিকানায় বিড়ালগুলোকে দেখতে গিয়ে দেখি অনেকগুলো বিড়াল! এত বিড়ালের খাবার জোটাতে পুপে হিমশিম খাচ্ছে। ঢাকায় ফিরে ‘কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় বিড়াল সংরক্ষণ কমিটি’ করে দিই। কুমারখালির বীর মুক্তিযোদ্ধা সাত্তার ভাইয়ের সমর্থনে ও তাকে আহ্বায়ক করে ‘কবি সুভাষ মুখোপ... »

আবুল সুন্দর

আবুল সুন্দর

আমি আনারসের ব্যবসা করি। মধুপুর থেকে শেয়ারের ট্রাকে পাইকারি আনারস আনি, ঢাকায় খুচরা বিক্রি করি। আগে টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ি থাইকা চমচম আইনা বেচতাম, লাভে পোষায় নাই। মিষ্টির ব্যবসা আমার কপালে নাই। পোড়াবাড়ির কারিগররা বলত ওখানকার পানি নাকি কুদরতি, চমচম ভালো হয়। যদিও যমুনার চর থেকে আনা সস্তা দুধের কারণে চমচমে পড়তা ভালো থাকত, সে কথা বলত না। তবে মধুপুরের আনারসে যেমন অনেক রস, ঠিকমত সিজন বুইঝা আনতে পারলে তার লাভ... »

গল্পটা মূলত আমারই

গল্পটা মূলত আমারই

নতুন কোনও মেয়ের সাথে আমার পরিচয় হলে এবং সেই পরিচয় ঘন হতে থাকলে আমি প্রতিবারই ঐ মেয়েটির সঙ্গে কিছুটা ঘটা করেই আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু টিটির সাথে তার পরিচয় করিয়ে দেই; টিটি তার, অর্থাৎ আমার বন্ধুটির নামের সংক্ষিপ্ত-রূপ; আমরা নিকটজনরাই ওকে টিটি বলে ডেকে থাকি; এবং আজও আমি এই শহরের একটি ছোট কিন্তু ছিমছাম নামি রেস্তোরাঁয় আমার সর্বশেষ বান্ধবী রুমিকে নিয়ে এসেছি টিটির সাথে পরিচয় করিয়ে দেব বলে; আর এই রেস্তোরাঁটিই ... »

আম্মার ফুলের বাগান

আম্মার ফুলের বাগান

যে কোন ইউফোরিক ট‍্যাবলেটের সাথে নন-ট‍্যাবলেট বাট ফ্লাওয়ার, ফুল, ফ্লাওয়ারিং প্ল‍্যান্ট, ঘাস জাতীয় গোত্রের ক‍্যানাবিস স‍্যাটিভার ফুল হাল্কা ডোজে কম্বাইন করলে ডিসেম্বরের দীর্ঘ রজনী মনোটনি হারায়। আর মনোটনি হারালে ঝলমল হয়ে ওঠে আরেক পাশ। অন্ধকার, ঠিক পুরা না, পৌনে অন্ধকারে বৃষ্টির মতো মোটামোটা স্নো ঝরে পড়াকে মনে হয় ভ‍্যানগগের অ‍্যামন্ড ব্লসম। এসময়... »

আঁধারে একা

আঁধারে একা

তানভির ভাবছে এবার সাহস করে বেরিয়েই পড়বে। দেখা যাক কী হয়। যদিও রিস্ক নিতে দ্বিধা হচ্ছে। কিন্তু কতদিন আর এভাবে ঘরে বন্দী থাকা যায়? থেকে থেকে সময়-অসময়ে ঘর থেকে বের হয়ে যাবার ইচ্ছেটা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। নিঃশ্বাস নেওয়াও একঘেয়েমি হয়ে পড়েছে। বিছানায় কাটে দিন-রাতের বেশির ভাগ সময়। ঘুম ভাঙার পরও ঘাপটি মেরে উটের মতো মাথা গুঁজে বিছানায় পড়ে থাকে। আজ বের হবে ভেবে উঠে বসল। রাত থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি ... »

রোমে বসবাস

রোমে বসবাস

ইতালিতে বসবাসের গত কুড়ি বছরে আমি আমার যেসব লেখা প্রকাশ করছি তার প্রায় সবই ফেসবুকে। এইসব ফেসবুকীয় লেখা থিকা তুলট ব্লগজিন কিছু লেখা নির্বাচন কইরা ঐসব প্রকাশের অভিপ্রায় ব্যক্ত করলে আমি তাতে সামান্য যোজন বিয়োজন করি ও লেখাগুলার বানান পরিমার্জন করি। এই লেখাগুলা ২০১২ থিকা বর্তমান-তক কালে লেখা। ১. পর্তাফর্তুনা কাজে যাব বইলা সকালে ঘর থিকা বাইর অইয়া হাঁইটা মেট্রো রেলের দিকে রওনা দিলাম। সুবাগুস্তা মেট্রো স্ট... »

মা: নিজস্ব সিনেমা হলে একা একা

মা: নিজস্ব সিনেমা হলে একা একা

এক তলা বাড়িটার উঠান থেকা কখনোই দূরের আকাশটারে অতটা দূরের মনে হইতো না, তখনো সাবেকী আমলের এক তলার ছাদে খাড়াইলে লক্ষ্মীবাজারের হলিক্রস চার্চের ক্রসটা দেহা যায়। সকালে বিকালে চার্চের ঘণ্টার আওয়াজও হুনা যায়। এক তলার উঠান থেকা ৪ ধাপের মই বায়া পাকের ঘরের চালে, চাল থেকা দেয়ালের উপর দুই পা দিয়া পার হয়া দাদাভাই এর ঘরের চাল থেকা এক তলার ছাদে গিয়া আমার মাস্তানির আখড়া। পরিবারের চাইরদিকে ছোটকাল থেকা ক... »

সুবর্ণরেখা

সুবর্ণরেখা

সূক্ষ্ম ফাঁকের নেট আর কাঁচের জানালার মাঝখানে, দেড় ইঞ্চি ফারাকের মধ্যখানে একটা টিকটিকির লাশ। মরে শুকায়ে চ্যাপ্টা হয়ে ঝুলে আছে, মাকড়শার বানানো বৃত্তাকার বিস্তারে। বাইরে সোডিয়াম লাইটের ঘন আলো। বৃষ্টি টানা পড়ে যাচ হেই, দ্যাখসো, একটা টিকটিকি মইরা পইড়া আছে। শুধু মরে নাই। মইরা শুকায়া ঝুইলা আছে চ্যাপ্টা হইয়া।আমারে তো বৃষ্টি, বৃষ্টির সাথে আটকায়া থাকতে বাধ্য করতেসে। আমার নি:সঙ্গ লাগতেসে চরম।তুমি তো বাধ্য হও... »

Skip to toolbar