কবিতা

Photo By: Bruno Ramos Lara | Unsplash

তিনটি কবিতা

ভ্রমণ কক্সবাজারে আগেও এসেছি। আমার এক আর্টিস্ট বন্ধু থাকে কক্সবাজারে। ভিন্ন গ্রহের প্রাণীর নামে নাম। একটার পর একটা হোটেল সমুদ্রের পাড়ে। ওর মারমেড নামে একটা ক্যাফে আছে। আমেরিকা, রাশিয়া, জাপান থেকে প্রচুর পর্যটক আসে। + সস্তা হোটেলের সংখ্যাও অনেক। সারি সারি দোকান, রেস্তোরাঁ। এখানে একটা দারুণ সাজানো বাজার আছে পর্যটকদের জন্য। উঁচু উঁচু আকাশ ছোঁয়া হোটেলের ছড়াছড়ি। দু-এক বছর পরপরই এই জায়গার স্কাই লাইন দ্র... »

Photo By: Eberhard Grossgasteiger | Unsplash

অসামাজিক

বাস আসছে। বাস যাচ্ছে। ঠাসা ঠাসা মানুষ। পোকামাকড়ের মত মানুষ। কেউ কারো দিকে পর্যন্ত তাকাচ্ছে না। + ছাউনির পাশে কোলে বাচ্চা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এক যুবতী মা। কিছুতেই উঠতে পারছে না বাসে। পুরুষ মানুষদের হুলুস্থুল পেশী-বুহ্যের মধ্যে একটা ছোট্ট দরদী ফাঁক খুঁজে পেতে বারবার ব্যর্থ হয়ে, ধাক্কা ঠেলা, চাপ খেয়ে, শেষে ফিরে এসে দাঁড়িয়ে আছে ছাউনির পাশে; নিরেট মেঘের দিকে তাকিয়ে থাকা কোন এক ভেজা কাকের মত। মানুষেরা আর ম... »

নিকাবি গফ, গোলাপি খউফ

নিকাবি গফ, গোলাপি খউফ

করোনার দিনে তোর সনে আমার পিরিতি রে নিকাবি আমাগো প্রকাশ্য চুমু, অধর দংশন, চারুকলার ছাদে আমাদের হৈ হৈ রিক্সা, জিলাবি ও ফুচকা, শূন্য গাওসিয়া আমাদের ওল্ড ঢাকা, টাকি মাছের পুরি, লিটনের ফ্ল্যাটে চা আমাকে উদোম দেখে, আমার পেশল বুকে, তোর লেপ্টে যাওয়া তোর বয় ফ্রেইন্ড, বানু, মার্ক্সবাদ করে, ফেসবুক বিপ্লবী তার ধ্বজামার্কা পদ্য দৈনিক একতা ও প্রথম আলো ছাপে তার নামে শুনে, বাঘ ও বকরী কাঁপে, টিএসসিতে! তাঁকে লাল... »

Photo By: Jr Korpa | Unsplash

আমাকে দেখো না কেউ

আমাকে দেখা যায় সামনের বাড়ির জানালা দিয়ে তারে পেটিকোট, পাজামার সাথে ফ্যানের নিচে শুকোচ্ছি নিজেকে ভেজা আধা ভেজা। নিচে যে কুকুরটা, ওকি আমি! কতো গভীর নীরবে সেঁধিয়ে আছি গুটিসুটি একা আর বৃষ্টির বন্যা ভাসিয়ে দিয়েছে যত আবর্জনা তবুও রেলিং ঝুঁকে দেখছে বাড়ির মেয়েরা! যতই লুকাতে চাই নিজেকে ততই কোঠার মত প্রকাশিত হতে থাকি ধীরে ধীরে; আমাকে দেখো না কেউ তোমরা, না, আমাকে দেখো না তোমরা। »

Photo By: Ilya Lix | Unsplash

উড়িয়ে নিয়ে যেতে চায়

ফড়িং-মেয়ে, ফড়িং-মেয়ে আরো কাছে উড়ে আসো, রাখো পলকা পা’গুলি আমার আঙুল চূড়ায় মোটেও তোমার লেজে সুতা দিয়ে গিট্টু মারবো না + যদি নাকে এসে বসো, দিবো না থাপ্পড় + হেলিকপ্টার হলেও হতে পারো, করবো না গুলি + তোমার পেটের মধ্যে বসে ওম নিতে নিতে দেখবো অনেক উপর থেকে আমাদের গ্রামটাকে + মাঝেমধ্যে ইস্পাতের পেট থেকে নামিয়ে দিবে চঙ + এক পা শূন্যে, আরেক পা তোমার ঝুলন্ত সিঁড়িতে রেখে হাই ইউ হাই ইউ উ উ উ শব্দ করে... »

আমার কাজ

আমার কাজ

আজ সারাদিন হাইওয়ে রোডের উপর দিয়ে বাইক চালিয়ে মশার মতো এলাম, একটা মরা মৌমাছির শুকনো কণ্ঠনালী রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখলাম। + তোমার স্তন দুটাতে কাঠের রুল দিয়ে টোকা মারার মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ সেরে নিলাম আজ। গ্রামের বৌ-ঝিদের কাঁথাতে ফুল তোলার কাজ দেখে এলাম; পেটকাটা গাছেদের রক্ত চুয়ে পড়া দেখলাম। রক্ততৃষ্ণায় বড় হতে থাকা পাড়ার মাস্তানদেরও দেখা গেল রামদায়ে কুপিয়ে কুপিয়ে ভাগ করছে একটা বাচ্চা পেয়ারাকে... »

তদোগেন গিরতের কবিতা – ৩

তদোগেন গিরতের কবিতা – ৩

সে সারাদিন তাইমেন মাছ কাটে উবু হয়ে বসে ট্রাউট কাটে ওর তলপেটে মাছের গন্ধ আমরা দিনের বেলায় করি, করার পর আমার তলপেট মাছ হয়ে যায় + রাতে যখন চিকচিক করে জল আমার তলপেট বরফজলে সাঁতরে বেড়ায় সে ভোরভোর তাকে খ্যাপলা জালে ধরে আর কেটেকুটে বরফের ওপর রেখে দেয় ++ ++ ++ Page top Image by Wokandapix from Pixabay »

জাহাঙ্গিরকে লেখা কবিতা ৫

জাহাঙ্গিরকে লেখা কবিতা ৫

শুধু ভাবি জল এসে যাবে ক্রমাগত গর্ত ছিল এভাবে, মরশুম ছিল সারা ভোর ভর্তি ছিল কুয়াশায় , পাতলা ও মেহগিনিতে শ্বাস নিলে মনে হয় সার সার গির্জার কাছে দাঁড়িয়ে আছি ঠাণ্ডা শাদা মরিচগাছের পাতা নড়ছে উনিফর্ম নড়ছে আর দু’একটা চৈ চৈ হাঁসের ডাকে অবিকল তৈরি হয়ে যাচ্ছে স্কুল + গায়ে পানি লেগে থাকা হাঁস লেগে থাকা ভালো জাহাঙ্গির, দু’ একটা গর্ত লেগে থাকা ভালো – কেউ জাল ফেলবে ভাঁদিপুঁটি সুরপুঁটি বেলেভোলায় খলুই ভ... »

Photo By: Jr Korpa | Unsplash

শীতের দিন

আমাকে টানছে না আর শীতের অরণ্য ওক ছায়ারা; ঘুমপাহাড়ের নিচে তোমার মতো হে বিরহী যক্ষ নাকি মেষপালক আমিও কবে হারিয়ে ফেলেছি রোদ কয়েন! চতুদ্দিসে মনোটোনাস শীতকাল রিলকে ট্রামে-ওয়ালে নোটিফিকেশন জুড়ে উড়ছে শীতের পাতা; কেমন বয়স্ক সব দিন পার হচ্ছে ঝাড়খণ্ড হয়ে নদীয়ার দিকে ডালিম বিচির মতো একেকটা রাত দেখো কীভাবে নেমে পড়েছে ম্যারাথন ট্র্যাকে। + + + ©সূচনা বড়ুয়া। কবিতাটি ‘উইডের তালে তালে কয়েকজন সন্ধ্যা’ (প্রকাশক: উড়ক... »

Photo By: Jr Korpa | Unsplash

আটপৌরে

যেভাবে শরীর গুটিয়ে বাঁচো মনে হয় জনপদে নয়, তুমি আছো সাপের গর্তে কোন‌ও! পরগাছা দিয়ে ভরে গেছে আঙিনা শামুক হেঁটে আসে বুকে ভর দিয়ে- বাঁচার জন্য তোমার সমস্ত আয়োজন নগরনয়েজে ময়লা হয়ে আছে; সন্ধ্যায় চায়ের টেবিলে জুড়ায় অস্তিত্বের সঙ্কোচ! যেভাবে পা ফেলতেছো এখন মনে হয় গল্পের বুড়ি এসে কাঁটা পুতে রেখে গেছে রাস্তায়! ঘাড় গুজে বাজারে ঢোকো কেনো? পৃথিবীকে মুখ দেখাতে গ্লানি? ফুলপ্রীতি, ভুলে গেছো হয়তো; কি নিয়ে ফিরছো ... »